কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০/ ১১০ টাকা। কিন্তু রাত পোহানোর সাথে সাথে অর্থ্যাৎ শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বুড়িচং কাঁচা বাজারের দক্ষিণ অংশের মুদি দোকানীরা ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করে।
অপরদিকে উত্তর বাজারের মুদি দোকানীরা ১৭০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে জাতীয় ভোক্তার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ছামিউল ইসলামের নেতৃত্বে বুড়িচং বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করে।
এতে মুর্হূতের মধ্যেই আকাশ ছোঁয়া পেয়াজের দাম কমে চলে আসে ১৩০-১৪০ টাকাতে। বুড়িচং বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘কী তিলসমতি কারবার! এক রাতেই পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে? হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে গেছি। কিভাবে সম্ভব এটা! এক রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ। এত লাভ করা ভালো না।
আল্লাহর গজব নেমে আসবে।’ বুড়িচং বাজারের এক মুদি দোকানী বলেন, ‘সকালে আমরা ১৬৫ টাকা করে পাইকারি কিনে করে ১৭০-১৮০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্ত এখন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কয়েকটি দোকানে জরিমানা করেছে। তারা আমাদের ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রয় করতে বলছে। এতে অনেকেই বিক্রয় করছে না।’
বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের টিমসহ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাঁচজন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার পাঁচ শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাদের ক্রয়কৃত ভাউচারে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা ১৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছে। তাই তাদের ১৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’