জাল দলিল তৈরি ও ব্যবহার করে হোমিও কলেজের অনুমোদনের চেষ্টায় অভিযোগ তদন্তে যুগ্ম সচিব
এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোহাম্মদ হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জমির জাল দলিল তৈরি ও তা ব্যবহার করে কলেজের অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তা তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এনিয়ে তদন্তকাজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য,শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির সভাপতি মল্লিকা খাতুন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমান।
গত রবিবার (১৯ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের শান্তিমোড়স্থ মোহাম্মদ হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যায় তদন্ত দল। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস ও অফিস ঘুরে দেখেন তারা। তবে এই তদন্ত নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেছে কলেজের শিক্ষক,ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের।
তদন্তে কলেজ পরিদর্শনের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোহাম্মদ হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতানা রাজিয়াসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
কলেজের নথিপত্র ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,গতবছরের ০২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত ০৬ সদস্যের পরিদর্শন কমিটি। পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে পরিদর্শন কমিটি। অন্যদিকে প্রতিবেদনে যে জমির দানপত্র দলিল দেয়া হয়েছে,তা সম্পূর্ণ ভুয়া
তবে অভিযোগ রয়েছে,দলিলের বিপরীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেজিষ্ট্রী অফিস গেলে সার্টিফাইড কপি দিতে পারছেন না এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন,এই জমির দলিল ১৯৭৬ সালে রেজিষ্ট্রেশন হয়। কিন্তু ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়নি। ক্রাইম রিপোর্টারের অনুসন্ধানে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে, ভুয়া দলিলে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোহাম্মদ হোসেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে নানরকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের পত্রের প্রেক্ষিতে দলিলটির সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং সে অনুযায়ী এর উত্তর দেয়া হয়েছে বলে জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস।
তদন্তে এসে কলেজ পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির সভাপতি মল্লিকা খাতুন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও পরিদর্শন কালে গণমাধ্যম কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় তাদের গুন্ডা বাহিনী। আরো একাধিক তথ্য সূত্রে বিস্তারিত থাকছে অনুসন্ধানীমূলক ক্রাইম রিপোর্টারের দ্বিতীয় পর্ব।