এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ বালুমাটি উত্তোলন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন! ভয়ানক সিন্ডিকেট ওরা কারা!
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাগলা ও পদ্মা মালোপাড়া ঘাট সহ নদীর বালু-মাটি সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের নেতৃত্বে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের মহোৎসব৷ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৬, ৭, ৮ নম্বর বাঁধ ও পাগলা নদী থেকে চলছে এসব বালু উত্তোলন। দিন ও রাতে সমানহারে চলছে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন। কোনভাবেই থামছে না তাদের দৌরাত্ম জড়িত রয়েছে এসব জোরালো সিন্ডিকেট।অভিযোগ রয়েছে,গত কয়েক বছর থেকে পদ্মার বাঁধ ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তারা ওরা কারা!তবে কয়েকটি বালু উত্তোলন ও অবৈধ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হিসেবে পদ্মা ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালুমাটি খেকোরা। রয়েছে অন্ধকারের আড়ালে নিয়ন্ত্রণ করছে লোক মারফত সিন্ডিকেট দ্বারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়,চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা ও পাগলা নদীর অন্তত ৫-৬টি পয়েন্টে এসব অবৈধ বালুমাটি উত্তোলন করা হয়। প্রত্যেক বালুর পয়েন্ট থেকে চাঁদা তুলেন বালু মাটি খেকো ও কালো মুখোশধারীরা। স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পুলিশের নাম করে এসব চাঁদা তুলেন তারা। যেকোন বালুর পয়েন্টে চাঁদা না পেলেই নানারকম হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে তাদের নিয়ন্ত্রণে এসবের প্রত্যেকটি পয়েন্ট।
অভিযোগ রয়েছে,নিজেদের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালী জড়ালো সিন্ডিকেট। এমনকি সাম্প্রতিক তাদের বিশ্বস্ত একান্ত সহকারী ও সহযোগী কালো মুখোশধারীরা অবৈধভাবে এসব বালু উত্তোলন করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,বালুমহলগুলো থেকে বিভিন্ন পরিমান চাঁদা তুলে ম্যানেজ করেন প্রশাসনকে সেটিও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে খেয়ে যাচ্ছেন বলছেন স্থানীয়রা,যার কারনে শিবগঞ্জ উপজেলার মধ্যে প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান হয়। এমনকি এসব অভিযানে জেল জরিমানা আদায় করা হলেও অদ্ভুত কারনে সদর উপজেলার মধ্যে কোন জোড়ালো অভিযান হয়না।
একাধিক সূত্রে জানিয়েছে,তাদের ক্ষমতা বিস্তার সিন্ডিকেটকে চাঁদা না দিলেই উপজেলা প্রশাসন দিয়ে নানারকম হয়রানি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন তারা সদর উপজেলার মধ্যে বালুমহলের কার্যক্রমে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান হলেও সদর উপজেলায় অজানা কারনে অভিযান করেনা উপজেলা প্রশাসন। এটি ঘিরে ঝড় উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পদ্মা নদী ও পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দেয়। নদী ও ফসলী জমি ও বালু কেটে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। এসব বালু মাটি উত্তোলন করার কারনে পদ্মা ও পাগলা নদীতে ভাঙন দেখা দেয় প্রতিবছর। এতে ভিটেমাটি হারা হয় পদ্মাপাড়ের মানুষরা। এছাড়াও প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার বিঘা ফসলী জমি তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। এনিয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার মানববন্ধনের কাতারে হাজারো জনগণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্তও প্রশাসন নিরব কেন সেটি নিয়ও প্রশ্নের সম্মুখে শত শত ভুক্তভোগীরা ও সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নিকট একাধিকবার লিখিত অভিযোগ পড়লেও তদন্তের সীমা অতিক্রম হতে দেখা গেছে। নীরব ভূমিকায় রয়েছেন তারা,তবেকী অবৈধ বালু মাটি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সেটিও প্রশ্নের দ্বারপ্রান্তে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সুশীল সমাজ নাগরিকদের দাবি,অবিলম্বে জোরালো টিম গঠন করা একান্ত প্রয়োজনীয় দরকার,তানা হলে এভাবেই চলতে থাকলে ফসলী জমি রাষ্ট্রীয় আয় থেকে একসময় বঞ্চিত হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষিখাত। বিস্তারিত থাকছেন অন্ধকারের আড়ালে জাড়িতদের মুখোশ উন্মোচন একাধিক পর্বে চোঁখ রাখুন জানিয়ে পরবর্তী প্রতিবেদকের ক্যামেরায় ওরা কার!