1. admin@dailykhoborerdak.com : admin :
  2. rahmanfayez33@gmail.com : RAHMAN FAYEZ : FAYEZUR RAHMAN
  3. mdfayez09@gmail.com : Md Fayez : Md Fayez
  4. smrubelbbc@gmail.Com : SM Rubel : SM Rubel
  5. mersin@ataberkestate.com : TimothyMuh :
যশোরের মনিরামপুরে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়া - দৈনিক খবরের ডাক
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নার্সিং প্রশাসনের উচ্চপদে নার্সদের পদায়নের দাবিতে গাজীপুরে পতাকা মিছিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম রুবেল বলেন আমার হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর আমরা তারই অনুসরণকারী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোয় বিভাগীয় সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা নড়াইলের সাবেক এসপি সাদিরা খাতুন,ওসি, নেতাকর্মীসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের॥ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ  আকস্মিক বাঁধ খুলে বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থদের আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত মালখানা থেকে লুট হওয়া ৪ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার  উল্টো ছাতা ধরে’জোড়ালো বার্তা দিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

যশোরের মনিরামপুরে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়া

মতিন গাজী, যশোর প্রতিনিধি
  • আপডটে সময় : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১৩৬ বার পঠিত

অনলাইন ক্যাসিনো বা জুয়া যেন একটি আতঙ্কের নাম। মাদকের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে এই অনলাইন জুয়া। এক ধরনের কৌতূহল থেকে তরুণ প্রজন্ম এ জুয়ায় আকৃষ্ট হয়ে হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করছে এবং এক পর্যায়ে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর, কপালিয়া,কুমারঘাটা, নেহালপুর, দূর্বাডাঙ্গা ও কুলটিয়া ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী-সহ অনেকেই এখন অনলাইন ক্যাসিনোর সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

অভিযোগ সূত্র বলছে, উপজেলার জুয়াড়িরা (1XBET) ওয়ান এক্সবেট নামে অনলাইন জুয়ায় সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট ও আসক্ত হচ্ছে। ঐ এলাকার প্রতিটি বাজারে আড্ডার আড়ালে চলে এই অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়া। বিভিন্ন চা স্টলে, গুদাম ঘরের মেঝে, প্রতিষ্ঠানের ছাদে, খোলা মাঠে, এমনকি বাড়িতে শুয়ে বসে চলছে ক্যাসিনো জুয়ার আসর।

অনেকে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বাড়ছে পারিবারিক কোলাহল, নারী নির্যাতনের মতো নানাবিধ অপরাধে।জুয়ার বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার ও ক্যাসিনো খেলার নিয়ম ফেসবুক পেজ, ইউটিউবসহ নানা সাইডে বিজ্ঞাপন আকারেও ভাসছে অহরহ। প্রথমে টাকার বিনিময়ে গ্রুপের সদস্য হওয়ার শর্ত দেয়া হয়,চাওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, নাম, বয়স, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর।

এসব তথ্য দিয়েই জুয়ার গ্রুপে সদস্য হওয়ার অনুমতি পেতে হয়। জুয়ায় জড়িত ব্যক্তিরা জানান, এসব অ্যাপসের বেশির ভাগই পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাংলাদেশে এগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধি (এজেন্ট) রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টরা বিদেশি অ্যাপস পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে হাজারে কমপক্ষে ৪০ টাকা কমিশন পায় বলে জানাযায়।

এদের রয়েছে আবার এজেন্ট, যে এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাচার হয়।মনোহরপুর ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী মাহতাবুর হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন আমি নিজে কৌতুহলবশত একটি অ্যাপস নামিয়েছিলাম। এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে ডিপিও করি ৫০০ টাকা। চোখের পলকে মনে হলো ফুড়ুৎ করে বাতাসে টাকাটা নিয়ে চলে গেল। তবে আমি মনে করি এভাবে যদি চলতে থাকে এলাকার যুবসমাজ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

আমি অবাক হয়ে যাই ক্লাস সেভেন এইটে পড়ুয়া বাচ্চারও এই জুয়ায় নেশাগ্রস্থ হয়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জুয়াড়ি জানান, মনোহরপুর ইউনিয়নের মৃত ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে মোঃ নাজিউর রহমান মাস্টার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। আরো জানান, এছাড়া মো. পাভেল, পাপ্পু, বাপ্পারাজ, সোহেল, আলী আজম বাচ্চুসহ অনেকেই অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসাবে সারা ইউনিয়ন পরিচালিত করে থাকে।

অপরদিকে স্থানীয় আরেকটি সূত্র জানায়, নেহালপুর ইউনিয়নে মাস্টার এজেন্টের দায়িত্বে রয়েছে ইসরাফিল নামের আরেকজন জুয়াড়ি। তার আন্ডারে এজেন্ট রয়েছে ইমদাদ, শাহীন, রিপন, বাহারুল, শফিকুল, তরিকুল, সিরাজ, ইনামুল, মহিদুলসহ বেশ কয়েকজন। একইভাবে দূর্বাডাঙ্গা ও কুলটিয়া ইউনিয়নেও মাস্টার এজেন্ট ও এজেন্টদের মাধ্যমে চলছে জুয়া খেলা।স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান,গত ২৯ ফেব্রুয়ারী ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নেহালপুর ও মনোহরপুর থেকে ৫জনকে আটক করে আদালতে পাঠায়।

এছাড়া ১৪ মার্চ আবারও ডিবি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এদিকে নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তথ্য পেলেই জুয়ার আড্ডায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে এলাকার বিশিষ্টজনরা অনলাইন ক্যাসিনো নামক এসব জুয়া বন্ধে প্রশাসনের জোর নজরদারি কামনা করছেন।

এ বিষয়ে আরো জানতে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদের কাছে জানতে চাইলে,তিনি তার মুঠোফোনে জানান,এর আগেও ৫জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।নাম অথবা অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এছাড়াও এসকল ক্যাসিনো/অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব এবং আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

Facebook Comments Box

দৈনিক খবরের ডাক-এ প্রকাশিত সংবাদ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংবাদদাতাদের প্রেরিত তথ্যের আলোকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে দৈনিক খবরের ডাক এজন্য দায়বদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

ডেইলি খবরের ডাক সংবিধান, আইন ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উস্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। কতৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে।