শেরপুরে মহাসড়কে পেট্রোল দিয়ে দুটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ১৫ জনকে। অজ্ঞাতনামা রয়েছে আরো অনেকে।
মামলায় গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে এঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসহ জামায়াত নেতারা রয়েছে।
এই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রামজীবন ভৌমিক বলেন, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনসহ জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।
২২ নভেম্বর বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়ার কারাগারে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে থানা পুলিশ। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ওই দুই ট্রাকের অন্তত চারলাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন, উপজেলা গাড়িদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে খোকন (৩৭)। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের তাকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলাম (৪৫), উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে খোকা (৪৫), বিশালপুর ইউনিয়নের পানিসারা নতুন পাড়া গ্রামের বিএনপি কর্মী রেজাউল করিম (৪৩) ও সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সেনবামুনিয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী আলী রেজওয়ান (৬০)।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।