এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে।।

সংসারে একটু সুখ অভাব অনাটন ফেরাতে ধারদেনা ও ঋণ করে বিদেশে পাড়ি জমান রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামির কুষা ইউনিয়নের শ্রী প্রতিপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সরদার,। ও আরো একাধিক ভুক্তভোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে জাহাঙ্গীর সরদারের পরিবারের তিলতিল করে জমানো প্রায় দুই লক্ষ টাকা, অন্য দিকে তিন লক্ষ এনজিওগুলোতে লোন নিয়ে দালাল প্রতারকের হাতে শেষ  সম্বলটুকু দিয়ে আজ অনাহারে দিন পার করছে পরিবারটি। তাদের দাবি প্রতারকের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে ও হাতে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি।

সর্বস্বান্ত হয়ে আজ প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখ একই উপজেলার জুগিপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন প্রামানিকের ছেলে বাবু দালাল ওরফে বাবু প্রামানিকের হাতে,তার মাধ্যমে ভুক্তভোগী  জাহাঙ্গীর সরদার তুর্কিস্থানের তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিরগিজস্থান নিয়ে যায়। সেখানে মাসে প্রায় লাখ টাকা বেতন দেয়ার কথা থাকলেও কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে,এমনকি তাকে ৬ হাতে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে,এতে চরম অনিশ্চয়তায় খাল্লিবািল্ল অবস্থায় দিন পার করছেন জাহাঙ্গীর সরদার ও তার অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবার।

একদিকে পাওনাদারদের চাপ অন্যদিকে ঋণদাতাদের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এরপ্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি বাগমারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জাহাঙ্গীর সরদারের বাবা আলাউদ্দিন প্রামানিক। অভিযোগে প্রতারক চক্রটির বিচার দাবি করেন তিনি। প্রতারকদের ফাঁদে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার,চক্রটির রদ বদল করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একাধিক লোকজনের নিকট হতে এমনই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটি নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়ে বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন,আলাউদ্দিন প্রামানিকের ছেলে (১) নং আসামি বাবু দালাল অরফে বাবু (৪০)( ২) নং বাবু দালালের ছেলে ইমন (২৫) ৩ নং ১৫ নাম্বার খূমিপাড়া ইউনিয়ন ও ভদ্রখালী গ্রামের সকিমুদ্দিনের সূকিম এর ছেলে মতিন (৪৫) বাগমারা উপজেলার ও জেলা রাজশাহীর আওতাধীন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাবু দালাল ও তার সহযোগীরা বলেন,তাদেরকে সঠিক নিয়মাবলী মেনে পাঠানো হয়েছে একটু সমস্যা হয়েছে সেখানকার উইদার ঠান্ডার মাএাটা বেশি হওয়ার কারণে কাজের সমস্যা হয়ে দারিয়েছে,ঠান্ডা কমে গেলে পুনরায় কাজের সমস্যা সমাধান হবে।

এদিকে প্রতিবেদক জানতে চাইলে বাগমারার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন,লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।