কেবলি জীবনে প্রাণের সঞ্চার, চালিয়েছে মোদের এক সাথে।
লক্ষ্য ঠিক রেখে, ক্লান্ত শরীরে, সুশীল অজানা এক স্মৃতি পথে।
কত উদার, মনোরম সবুজের সমারোহে বিস্তীর্ণ নদীপথ।
সম্মুখ অভিযানে এগিয়েছি সামনে, রুধিতে পারেনি কেহ এই গতিপথ।
বাধিয়েছে জোট, হয়নি বিভেদ, সবে ছিল ঐক্যমত।
ফেলে পিছু টান, জয় যার প্রাণ, রুদ্ধতা নয় তারপথ।
হয়ে হন্ন্যে ফিরেছি-অরণ্যে! বাঘ কিংবা সিংহের পেতে মন।
পেয়েছি হরিণ, কুমিরের দল, অরণ্য নদে অদ্ভুত জেলে জীবন!
“পদ্মা নদীর মাঝি ” যে এরা, দ্বার তুলে মাস্তুলে ।
জোয়ার কিবা ভাটাতে এরা, দ্বার ধরে সব প্রতিকূলে।
হও বেগবান, হোক জুয়ার ভাটার টান, এক হয়ে চালাও অভিযান।
তোমার ক্যামেরা-কাগজে জেলেরে দাও অধিকার, ফিরে পাক সেও প্রান।
রুধিবে তোমায় কে, দুর্ভেদ্য এই সাধ্য কার।
ধাপে ধাপে তুমি হয়েছো উঁচু, পুরে পুরে হয়েছে অঙ্গার।
তোমরা দুর্ভেদ্য, অসীম, যুগের সেরা সৈনিক।
তোমাদের কলম অদম্য, দুর্বার, তোমরা নির্ভীক।
তোমরাই তো রুখে দাও জাতির সব ক্লেশ, হে আত্ম মানবতার নিবেদিত আয়না।
কত নির্মম, ভয়াল এ পেশা তবুও তো কর্ণপাত করোনা অপরাধীর বায়না।
তুমিই তো সে, জাতিকে বাঁচায় যে, যার কলমে বহু ধার।
হাতে রেখে হাত, করে নাও শপথ, এ বন্ধন যেন কভু নাহি মানে হার।
বানরের দল, ছিল না শৃঙ্খল, খাবার নিতে চাই কেড়ে!
হয়ে জাগরণ, লাঠি হাতে কোন জন, ওমনি ভেগে যায় সব তেড়ে।
কতো কার্গো জাহাজ, হয়ে আছে ভাঁজ ভাঁজ, নৌকা টলার তার কাছে কিছু নয়।
আঁকা বাঁকা নদী, চলছে অবধি ,ঢেউয়ের তালে কারো লেগে যায় ভয়।
ভুল যদি ভাই, করে ফেলে হায়!ক্ষমা কর, করে নিও আপোষ।
অমর কেউ নয়, কখন কি হয়? এ জীবন আজও কারো মানে নি পোষ।
এই প্রেম-প্রীতি, কত ভালোবাসা, কত স্মৃতি, আজীবন যেন থাকে টিকে।
নিজেকে বিলিয়ে অমর হওয়া যায়, তার নাম থাকে দিকে দিকে।