স্বামী ফেলে বাংলাদেশে যুবকের সাথে ঘর বেঁধেছে স্ত্রীকে ফিরে পেতে বিজিবির আশ্রয়
আলি হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
পিরিতে মজিলে মন কিবা হাঁড়ি কিবা ঢোল প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে যুবকের বাড়িতে ভারতীয় নারী। কথায় আছে ‘পিরিতে মজিলে মন,কিবা হাঁড়ি কিবা ঢোল’। এমনই এক ঘটনার বাস্তব প্রমাণ মিলেছে উত্তরবঙ্গের জেলা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ভারতীয় বংশদ্ভূত শাবনুর খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধু সংসার ফেলে নতুন জীবনের পাড়ি জমাতে বাংলাদেশী তরুণ মাসুদ রানার প্রেমের জালে,পার্শ্ববর্তী বন্ধু দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন ভারতীয় এক নারী। বহু রাস্তা পাড়ি দিয়ে দিনাজপুর সীমান্ত পেরিয়ে এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে। প্রায় ৪০ দিন পূর্বে এখানে এসে ওই যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছেন এই নারী। তবে শাবনূর ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার মান্দাপাড়া এলাাকার ইসমাইল হকের স্ত্রী।
অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, ৮ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোঠাপাড়া এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে মাসুদ। কাজের সন্ধানে অনুপ্রবেশ করে ভারতে যান রাজমিস্ত্রীর কাজে। সেখানে শাবনূরের শ্বশুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। তাদের সহযোগীতায় ভারতে চলাফেরার জন্য বানিয়েছিলেন আধার কার্ড। এরই এক পর্যায়ে চলাফেরার কিছুদিনের মধ্যেই শাবনূরের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাসুদের সাথে। বিষয়টি শাবনুরের স্বামী ইসমাইল জানতে পেরে ভাড়াটিয়া মাসুদকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর বিএসএফ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনাজপুর সীমান্তের রাতের আধারে তারকাঁটা পার হয়ে গৃহবধু শাবনূরকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন মাসুদ। মিলনের দুই প্রেমিক বাংলাদেশে এসে নাম পরিবর্তন করে বিয়েও করে ফেলেন তারা।
স্থানীয়রা আরও জানান,চলতি বছরের ১৪’ অক্টোবর সোমবার স্ত্রীকে ফিরে পেতে ভারতে তার নিকটবর্তী থানায় জিডি করেছেন আব্দুল বারিকের ছেলে শাবনূরের ভারতীয় স্বামী ইসমাইল হক। ভারতীয় পূর্বের স্বামীর দাবি আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে আমার স্ত্রীকে বাংলাদেশে এনেছেন মাসুদ। ভারতীয় স্বামী আরও দাবি জানান আমার স্ত্রীকে মন্ত্র তাবিজ করে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন তার স্ত্রীকে। এমনকি শাবনূর ভারতে ফিরে আসতে চাইলেও কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে বাংলাদেশের বিজিবির নিকট আশ্রয় নিয়েছেন ইসমাইল।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, অবৈধভাবে ভারতের কোন নাগরিকের থাকার সুযোগ নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি বাংলাদেশ ভারতী নারী এসে সুন্দরভাবে সুখের সংসার পেতেছেন তারা দুজনই। তাদের দৈনন্দিন সুখের সংসার আরও জোরালো করার দাবিতে ওই এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসীরা।