বৈচিত্র্যময় পরিবেশে শীতের সন্ধ্যায় চাঁদের মেলা
এসএম রুবেল প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শীত আসে ধুম কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা নিয়ে।শীত তার বৈশিষ্ট্যের স্বতন্ত্র রূপদান করলেও রক্ত জমা শীতল হাওয়া যেন স্তব্ধ করে তুলে জনজীবনের চলার গতি।শীতের ঝিরঝির রেশম নরম ও কমল বয়তে থাকা শীতল বাতাস বেশ ভারী মিষ্টি মধুর,যা শীতের সন্ধ্যায় মন মাতিয়ে তোলে গ্রামীন পরিবেশে।
সন্ধ্যা নামতেই যেন ঘন কুয়াশায় গ্রামের পথঘাটে জনশূন্য লোক্যালয়।এতে করে শীতের আমেজ নিতে শেয়াল মামারা দল বেঁধে কুউক্কাহুয়া ডাকে পাড়া গ্রামের খুব কাছ থেকে কোলাহলে মাতিয়ে তুলে,এই যেন তাদের মিলন মেলার আসর।
শুধু তাই নয়,শীতের সন্ধ্যায় গ্রাম-গঞ্জের ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে উপভোগ করে শীতের আমেজ।চাদর মোড়ানো ঠান্ডায় কুয়াশাচ্ছন্ন শীতে ইসলামী ওয়াজ মাহফিল ও তাফসীর জালসা শুনতে শীতের আমেজ ভিন্ন রূপী আনন্দ মুহূর্ত।এছাড়াও শীতের সন্ধ্যা গড়ে রাত্রি নামতেই শুরু হয় গ্রামীণ সংস্কৃতির গানের আসর। তাছাড়া,গ্রামের বয়স্ক দাদা নানাদের নিয়ে কিচ্ছা-কাহিনী ও গীত সহ নাম না জানা হরেক রকমের বিনোদনের মেলা।
শীতের সন্ধ্যায় গ্রামের চা’স্টল গুলোতে জমে উঠে ছোট বড় সকলকে নিয়ে গল্পের আসর।শীতের সন্ধ্যা নামতেই মেতে উঠে পাড়া গ্রামের কিশোর যুবকদের মিনি ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন ভলিবল,নাইট ফুড সাল ফুটবল খেলার উত্তেজনা,এ যেন এক অন্যরকম শীত আনন্দ।শীতের সন্ধ্যা নামার ঠিক আগমুহূর্তে চলে খেজুর রস তৈরীর পূর্ব প্রস্তুতি।এতে করে গাছি তার মনের আনন্দে গাছ থেকে মিষ্টি রসের প্রত্যাশায় হাড়ি বা ভাড় ঝুলিয়ে জানান দেয় বৈচিত্র্যময় পরিবেশে শীতের স্বতন্ত্র আমেজ।
সনসন শব্দে গুনরাহী মৌমাছিদের আগমনী সহ দিগ-বেদিক থেকে ছুটি আসা অতিথি পাখিদের কিচিরমিচির কোলাহল মুগ্ধ করে তুলে শীতের সন্ধ্যা।টিপটিপ করে জ্বলে উঠা জোঁনাকি পোকাদের উড়তে থাকা শীতের সন্ধ্যায় খুব কাছ থেকে তাদের আঁলোর মেলা দেখা ভিন্ন স্বাদে শীতের আমেজ।