এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার রাজশাহী ব্যুরো
জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে প্রতিবন্ধীর সাথে বিয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে চান। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নামো নিমগাচ্ছির ডুবাই প্রবাসী আব্দুল কাদেরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১১)। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫ টার দিকে। জোরপূর্বক বাল্য বিবাহ বাধা দিতে গেলে মারধরের শিকার হন জান্নাতুল ফেরদৌসের বড় বোন রুমানা খাতুন। পরে বোনকে বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের আশ্রয় নেন বড় বোন ও নানি শুলেখা বেগম,ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর পালিয়ে যায় প্রতারক মহিলা মোঃ ফারুকের স্ত্রী সায়িদা খাতুন। তবে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এখন পর্যন্ত তাকে ঘরবন্দী করে রাখা হয়েছে কোথায় খুঁজে পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবার। এদিকে বিয়ে করতে নারাজ ছিলো ১২ বছরের কিশোরী জান্নাতুল ফেরদৌস। তবে জোরপূর্ব বিয়ে করার জন্য চলতো তার ওপর অমানবিক নির্যাতন। এদিকে বাল্য বিবাহর মূল হোতা ও প্রতারক সাইদা কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে না করলে খাওয়া বন্ধ মেরে ফেলার হুমকি। অন্যদিকে ছেলেপক্ষ হরিপুর ভূঁইসাল পাড়া গ্রামের হাসেন আলির ছেলে প্রতিবন্ধী মিনহাজ (২৮) এর সঙ্গে চোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে গোপন করে রাখেন এখন পর্যন্ত।
প্রতিবেদক ক্রাইম রিপোর্টার এসএম রুবেল”কে ডুবাই কর্মরত বাবা ফোন করে মেয়েকে বাল্যবিবাহ থেকে বাচার আকুতি জানান প্রবাসী আব্দুল কাদের। বাবার আকুতি ও কান্নায় ভেঙে পড়া কথা সইতে না পেরে প্রতিবেদক এসএম রুবেলের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বহু খোঁজাখুঁজির পর খোঁজ নিলে হরিপুর কনের বাড়িতে, দেখা মিলে প্রতারক সাইদা খাতুনের সঙ্গে।
কিশোরীকে উদ্ধার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে প্রতারক সাইদা খাতুনকে,তবে ঘটনাস্থলের প্রবেশ করার আগেই টের পেয়ে অন্য বাড়িতে আত্মগোপনে রেখে দেওয়া হয় কিশোরীকে। এদিকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বড় বোন ও নানি একাধিক বার খোঁজাখুঁজি করার চেষ্টা করলে যৌনকর্মী ও বাল্যবিবাহ দেওয়ার মূল হোতা সাইদা খাতুন তার গুন্ডাবাহিনীকে ফোন করে ডেকে হামলার শিকার হন বড় বোন ও তার নানি। অন্যদিকে উদ্ধার করতে হাল ছাড়িনি বোন ও নানি ছুটে চলে আসেন সদর মডেল থানায় পুলিশ কাছে ঘটনাস্থলে যাওয়া ৯৯৯ এর এসআই আমিনুল ইসলাম কে উদ্ধার করার জন্য বারবার আকুতি জানান নানি ও বড় বোন।
এদিকে স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বিষয়টি অবগত করলে,মেয়েটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওকে। তবে রাত পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে যাননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি ইউএনও রাএে ব্যবস্থা নিলে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব ছিলো। ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও জেলা প্রশাসক ও ইউএনও উদ্ধার করার ব্যবস্থা নেননি।
প্রবাসী আব্দুল কাদের দাবি আমি দেশের বাইরে অবস্থানকালে,আমার ১২ বছরের ছোট্ট মেয়েকে আমার অনুমতি ছাড়া জোরপূর্বক বিয়ে দিয়েছে সাইদা ও তার গন্ডা বাহিনীরা। শিশু মেয়েটিকে উদ্ধার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেখানকার স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে না আশায় দায়ি করেন ইউএনওকে। প্রবাসী বাবার আকুতি এ বিষয়ে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।