কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া বিদ্যুতের সার্ভিস লাইন মেরামত নিয়ে তর্কের জেরে এক গ্রাহককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার (২৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অফিসে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত কর্মচারীরা।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত রবিবার (২৬ মে) ভুক্তভোগীর বাড়ির বিদ্যুতের সার্ভিস লাইনটি পুড়ে যায়।
এটি মেরামতের জন্য ওই দিন তিনি বিদ্যুৎ অফিসে যান। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা লাইনটি মেরামতের আশ্বাস দিলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
এর দুই দিন পরও লাইনটি ঠিক করে না দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার আবার বিদ্যুৎ অফিসে যান মারধরের শিকার ওই গ্রাহক। গতকালও আশ্বাস পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
এর পরও সংযোগ লাইনটি মেরামত না করায় বুধবার বিকেলে মেয়েকে নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যান ওই ব্যক্তি। সেখানে সংযোগ লাইনটি ঠিক না করার কারণ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন কর্মচারীরা।
ভুক্তভোগীর কন্যার অভিযোগ, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে একজন কর্মচারী তার বাবার পেটে লাথি মারেন। আরেকজন তার গলা ধরে অফিসের সামনে মাটিতে ফেলে দেন।
স্হানীয় লোকজন জানান, দুই কর্মচারীর মারধরে ওই গ্রাহক অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকেন। এ সময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
মারধরের শিকার গ্রাহকের মেয়ে বলেন, ‘সেবা নিতে এসে আমার বাবা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দুজন কর্মচারী মিলে বাবাকে মারতে মারতে অচেতন করেছেন।
আমি এই হামলার বিচার চাই।’
হামলায় সম্পৃক্ত কর্মচারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের কারো পরিচয়পত্র ছিল না। তারা আমার পূর্বপরিচিত নয় বলে তাদের নাম জানি না। তবে দেখলে চিনতে পারব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম শহীদুল আলম বলেন, ‘আমি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রিডে রয়েছি। এ ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানি না।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মেয়েকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে