মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুন্সী মোঃ মজনুর বিরুদ্ধে সরকারের অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (৪০ দিনের কর্মসূচি) কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিজের পরিবারের আত্নীয়স্বজদের নাম রয়েছে অতি দরিদ্র শ্রমিকদের তালিকায় ও একজন সরকারী চাকরী কর্মচারির নাম রয়েছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে তদন্তে গেলে নবাগত ইউপি সদস্যের কথা অনুযায়ী ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮ জনের নামের তালিকা রয়েছে, তবে কাজে পাওয়া যায় ১৪ জন শ্রমিককে দুইজন অসুস্থ থাকায় অনুপস্থিত ছিল মোট ১৬ জন এই প্রকল্পে কাজ করছে, বাকিরা কখনোই কাজে আসে না।
ইউপি সদস্য দলিয় ক্ষমতা বলে কাজ না করিয়ে হাজিরা খাতায় নাম তুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। কর্মসুচিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন আমরা ১৬ জন ব্যাতিত যাদের নাম আছে তারা কেউ কাজে আসে না। তিনি আরো বলেন যাদের নাম দেওয়া আছে তাদের নামের সিম মজনু মেম্বরের কাছে থাকে যখন একাউন্টে টাকা আসে তখন নিজেই টাকা তুলে নেন। এমন গুরুতর অভিযোগেরও প্রমাণ পাওয়া যায়।এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য কর্মসুচির কাজের শ্রমিকদের দিয়ে নিজের জমিতে এবং মাটিকেটে নিজের বসতবাড়ি ভড়াট ও নিজের বাড়ির বিল্ডিয়ের রাজমিস্ত্রীর হেল্পারের কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে।
৯ নম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার মুন্সী মোঃ মজনুর কাছে একাধিকবার হাজিরা খাতা এবং নামের তালিকা চাইলে তিনি আজ না কাল বলে ১৫ দিন ঘুরাতে থাকেন এবং নানা অযুহাতে তালিকা দেখানো যাবেনা বলে এড়িয়ে যান।এই বিষয়ে ইউপি সদস্য মুন্সী মোঃ মজনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মসূচি কাজের টাকা ঠিক মত না পাওয়ার কারনে অনেকে কাজে আসে না তাছাড়া ঠিক মত কাজ করছে হয়তো দুই-একজন অনুপস্থিত থাকতে পারে।
বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমি পেয়েছি বিষয়টি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রাহণ করা হবে।
এই বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার পলাশ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।