যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম দৃঢ় বলেছেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের অধীনে যেমন ২০১৪ সাল থেকে একদলীয় পাতানো নির্বাচন জনগন বর্জন করে আসছে। তেমনি আসন্ন একদলিয় ও তামাশার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও বর্জন করতে হবে। ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হতে পারেনা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবেনা। তাই সরকারের পাতানো সব নির্বাচন জনগন ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে আসন্ন এ তামাশার উপজেলা নির্বাচনও বিএনপির নেতৃত্বে জনগণ ঘৃনাভরে বর্জন করবে। সে কারনে প্রতিটি নেতাকর্মীকে সচেতনতার সাথে প্রতিটি গ্রামে-গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় দলীয় কর্মী সমর্থকসহ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
যদি কেউ দলিয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ব্যক্তি স্বার্থে পাতানো এ নির্বাচনে অংশ নেয় অথবা গোপনে বা প্রকাশ্যে সহযোগীতা করে তবে সেই যতবড় নেতাই হোক না কেন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মোহাম্মদ মুছা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন খান, অ্যাড. মকবুল ইসলাম,
মিজানুর রহমান, অ্যাড. মুজিবর রহমান, বিএনপিনেতা ডাঃ আলতাফ হোসেন, হাজী মিজানুর রহমান, নিস্তার ফারুক, আসাদুজ্জামান মিন্টু, খান শফিয়ার রহমান, জামশেদ আলী, সন্তোষ স্বর, শফিকুল ইসলাম শফি, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, নাজমুল হক লিটন , মাস্টার মতিয়ার রহমান, গাজী আব্দুল সাত্তার, আব্দুর রাজ্জাক, হযরত আলী, গনি মোড়ল, আলাউদ্দিন আহমেদ, রবিউল ইসলাম, খলিলুর রহমান, শামছুজ্জামান, আলতাফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ, যুগ্ম আহবায়ক মুক্তার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বিল্লাল গাজী, ছাত্রদলের আহবায়ক ওলিয়ার রহমানসহ প্রমুখ।