ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ত্রিবেণী বাজার অবস্থিত। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা মেলে ১ টাকা মূল্যের সিঙাড়ার।
মূল্য ১ টাকা হলেও এ সিঙাড়া খেতে সুস্বাদু ও বেশ জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে অনেকে ছুটে আসেন এই ১ টাকার সিঙাড়া খেতে।
সিঙারা বিক্রেতাদের মধ্যে অন্যতম মোশাররফ হোসেন। তিনি ত্রিবেনী গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বিক্রি করেন এই সিঙাড়া। পূর্বে টাকায় ২ টি সিঙারা বিক্রি করেছেন। বছর ছয়েক টাকায় ১টি সিঙারা বিক্রি করেন তিনি।
মোশাররফের পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে আনার্স পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেকে খুব বেশি দূর পড়ালেখা করাতে না পারলেও পড়ালেখা শিখিয়েছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। বাজারে ছেলেকে করে দিয়েছেন একটি মুদির দোকান।
সিঙাড়া বিক্রির পাশাপাশি তিনি স্বল্প পরিসরে কৃষি কাজ করেন মোশাররফ। বর্তমানে তিনি ১ তলা বাড়ি করেছেন সেই বাড়িতেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।
কথা হয় সিঙারা বিক্রেতা সেই মোশাররফের সাথে তিনি জানান, পূর্বে সিঙাড়া বিক্রিতে লাভ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা লাভ হয়না তাঁদের। গ্রামের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা ও মানুষের ভালোবাসার কারণেই এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন তাঁরা।
প্রতিদিন ৬০০ থেকে ২০০০ পিচ সিঙারা বিক্রি হয়।২০০০ পিচ সিঙারা বিক্রি করলে মোটামুটি জন খরজ হয় তাঁদের। বেঁচা-কেনা ভালো হলে অনুমানিক ৪০০-৫০০ টাকা লাভবান হয় তাঁরা। অনেকে এসে সিঙাড়া খাবার পাশাপাশি পরিবারের জন্য নিয়ে যায়। কেউ ১৫০-২০০ পিচ সিঙারা নিয়ে যায়। এভাবেই চলছে তাদের ব্যবসা।
কথা হয় সিঙাড়া ক্রেতা মাসুম শাহরিয়ারের সাথে তাঁর বাসা পাশ্ববর্তী একটি গ্রামে তিনি জানান, বর্তমানে ১ টাকায়ত কিছুই পাওয়া যায়না। এই বাজারে ১ টাকার সিঙাড়া পাওয়া যায়। যেটি খেতে সুস্বাদু। তিনি প্রায়ই আসেন এখানে।