আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে তা সরাসরি প্রচার করা হয়। মুহুর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
যেখানে দেখা যায় কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে শোডাউন করছে তার সমর্থকরা। যদিও প্রায় এক ঘণ্টা পর ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
ভিডিওতে তার সমর্থকদের বলতে শোনা যায়, আজকে (শুক্রবার) আমরা আছি এমদাদুল হক জুটনের নির্বাচনী প্রচারণায়। ইতোমধ্যে আমরা হর্ষি বাজারের দিকে রওনা দিয়েছি। প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। এটা নির্বাচনী প্রচারণা। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনের নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়। পরে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের মাঝে রঙিন লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে এমদাদুল হক জুটন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দেখতেছি বলে ফোন রেখে দেন তিনি।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, এর আগেও আমরা তার নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি জেনেছি। পরে তাকে মৌখিকভাবে সাবধান করে দিয়েছি। পুনরায় এমন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছিল চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েই তিনি রঙিন ব্যানার ব্যবহার ও সমাবেশ করে প্রচারণা করেন। আর এমন প্রচারণার তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লাইভ করেছেন।
ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, একটি টেবিল পেতে কয়েকশত মানুষের সামনে তিনি ও তার সমর্থকেরা হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য রাখছেন। তার পাশেই টানানো রয়েছে রঙিন ব্যানার। যেখানে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যানার টানিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। তবে সেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েই চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন প্রচারণা শুরু করেছেন।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর ভোট গ্রহণ ৮ই মে।