1. admin@dailykhoborerdak.com : admin :
  2. rahmanfayez33@gmail.com : RAHMAN FAYEZ : FAYEZUR RAHMAN
  3. mdfayez09@gmail.com : Md Fayez : Md Fayez
  4. smrubelbbc@gmail.Com : SM Rubel : SM Rubel
  5. mersin@ataberkestate.com : TimothyMuh :
বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য 'ঢেঁকি - দৈনিক খবরের ডাক
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজও গ্রেফতার না হওয়ায় মোক্তারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ছাত্রজনতা স্বামী ফেলে বাংলাদেশে যুবকের সাথে ঘর বেঁধেছে স্ত্রীকে ফিরে পেতে বিজিবির আশ্রয় ভারতীয় স্বামী বৈচিত্র্যময় পরিবেশে শীতের সন্ধ্যায় তাঁরার মেলা  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় পাতার বিড়িসহ দুই চোরাকারবারি আটক করে ৫৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান  নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন ঘরবাড়ি রক্ষা করতে বাঁচার আকুতি  বিএনপির হাত ধরেই বাংলাদেশ আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এটিএম মিজানুর রহমান মহানবী ( সাঃ) কে-নিয়ে কটুক্তি “র প্রতিবাদে দক্ষিণ রাউজানে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল নওয়াপাড়ায় পৌর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সাবেক কমিশনার সহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা  আমি ষড়যন্ত্রের শিকার-জাঙ্গালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল

বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ‘ঢেঁকি

মতিন গাজী, যশোর প্রতিনিধি
  • আপডটে সময় : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ১৭৪ বার পঠিত

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের ধান চাল ভাঙ্গার একমাত্র অবলম্বন ঢেঁকি। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। সময়ের বির্বতনে বিলিন হতে চলেছে ঢেঁকি। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দেখা মিলতো ঢেঁকি। এখন ঢেঁকির কদর কমে যাওয়ায় তেমন আর দেখা মেলেনা। বিভিন্ন গ্রামের বর্তমানে কয়েকটা বাড়ি ঘুরলে দেখা মিলে টেঁকির। সেগুলা রয়েছে আবার অযন্তে।

ফজরের আজানের পাশাপাশি স্তদ্ধতা ভেঙ্গে ঢেঁকির শব্দ ছড়িয়ে পড়ত উপজেলার গ্রাম গুলোর বিভিন্ন বাড়িতে। এখন সেই শব্দ আর শোনা যায় না। অথচ একদিন ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিনতর ছিল। যেখানে বসতি সেখানেই ঢেঁকি। কিন্তু আজ তা আমাদের আবহমান গ্রামীন সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় অভয়নগর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি পরিবারেই ধান-চাল গুড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। ছিল ঢেঁকি থেকে উৎপাদিত চালের ব্যাপক প্রচলন। তখনকার সময়ে পরিবারের নারীরা ধান, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য ভাঙ্গার কাজ ঢেঁকিতেই করতেন।।

বিশেষ করে শবে-ই-বরাত, শবে-ই-কদর, ঈদ, পূজা, নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকির নতুন ধানের চালের গুড়ো তৈরীতে ধুম পড়ে যেত। সে সময় গ্রামের বধুদের ধান ভাঙ্গার গান আর ঢেঁকির ছন্দময় শব্দে চারিদিকে চলতো হৈ চৈ আর আনন্দ ফুর্তি। অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙ্গিয়ে হাটে বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর ঢেঁকিতে ভাঙ্গা চাল খুব সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব চাহিদা ছিল।

কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া এবং সময়ের বিবর্তনে ধান, গম, চাল ভাঙ্গার মেশিনের কারনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা আছির শেখ বলেন, এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙ্গার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকিতে ভাঙ্গা চালের ভাতে অনেক পুষ্টি ও সুস্বাধু। এখন মেশিনে ভাঙ্গা চালে ও ভাতে কোন স্বাদ নেই।

উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইন্সিটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতাউর রহমান লেলিন বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে একমাত্র অবলম্বন ছিল ঢেঁকি। আর এখন গতিময় সভ্যতায় যাত্রা পথে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষেই তা বিলুপ্ত হতে চলেছে। ঢেঁকির ঐতিহ্য ও সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পাওয়ার জন্য ঢেঁকির ব্যবহার অনস্বীকার্য।

Facebook Comments Box

দৈনিক খবরের ডাক-এ প্রকাশিত সংবাদ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংবাদদাতাদের প্রেরিত তথ্যের আলোকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে দৈনিক খবরের ডাক এজন্য দায়বদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

ডেইলি খবরের ডাক সংবিধান, আইন ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উস্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। কতৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে।