জমি রেজিস্ট্রি না করে দেয়া মৃত বাবার খোরা কবরে ছেলে নিজে শুয়ে কবর দিতে বাঁধা প্রদান করেছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সম্পন্ন হয় দাফনকার্য। শুক্রবার(২৯ মার্চ) নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুল টারি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মৃত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছে। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান।
কিন্তু জমি রেজিস্ট্রে আগেই শুক্রবার ফজরের সময় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিন ছেলেকে দেওয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বাবার লাশ আটক করে কবরে শুয়ে পড়ে কবর দিতে বাধা প্রদান করে ছোট ছেলে নওশাদ আলী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুল ইসলাম বলেন, জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পরে সদর থানায় বিষয়টি জানাপলে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃত মুজিবরের দাফনকার্যে সম্পন্ন হয়।