1. admin@dailykhoborerdak.com : admin :
  2. rahmanfayez33@gmail.com : RAHMAN FAYEZ : FAYEZUR RAHMAN
  3. mdfayez09@gmail.com : Md Fayez : Md Fayez
  4. smrubelbbc@gmail.Com : SM Rubel : SM Rubel
  5. mersin@ataberkestate.com : TimothyMuh :
কুড়িগ্রামে টুপিতে নকশা তুলে প্রত্যন্ত নারীদের মধ্যপ্রাচ্য জয় - দৈনিক খবরের ডাক
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজও গ্রেফতার না হওয়ায় মোক্তারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ছাত্রজনতা স্বামী ফেলে বাংলাদেশে যুবকের সাথে ঘর বেঁধেছে স্ত্রীকে ফিরে পেতে বিজিবির আশ্রয় ভারতীয় স্বামী বৈচিত্র্যময় পরিবেশে শীতের সন্ধ্যায় তাঁরার মেলা  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় পাতার বিড়িসহ দুই চোরাকারবারি আটক করে ৫৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান  নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন ঘরবাড়ি রক্ষা করতে বাঁচার আকুতি  বিএনপির হাত ধরেই বাংলাদেশ আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এটিএম মিজানুর রহমান মহানবী ( সাঃ) কে-নিয়ে কটুক্তি “র প্রতিবাদে দক্ষিণ রাউজানে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল নওয়াপাড়ায় পৌর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সাবেক কমিশনার সহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা  আমি ষড়যন্ত্রের শিকার-জাঙ্গালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল

কুড়িগ্রামে টুপিতে নকশা তুলে প্রত্যন্ত নারীদের মধ্যপ্রাচ্য জয়

নয়ন দাস, বিশেষ প্রতিনিধি - কুড়িগ্রাম
  • আপডটে সময় : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪৬ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি সুনাম কুড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বাহারি রঙের সুতায় বিভিন্ন ডিজাইনে বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলেছে দিনদিন। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পেছনের মূল উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্তশিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।

জানা গেছে, মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে। সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় মোছা. কমলা বেগমের সঙ্গে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন মোর্শেদা। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করেন তিনি। প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা।

এরপর মোর্শেদা বেগম গ্রামে ফিরে আসেন। প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অন্য নারীরাও টুপি বানানোর কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ৫ হাজার নারী কাজ করছেন। মোর্শেদা বেগম শুধু নিজগ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেননি আশপাশের প্রায় ৪০-৫০টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন তিনি। বিভিন্ন বয়সী নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও একাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন।

মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন, সৌদি আরব, দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা (নকশা আঁকা কাপড়) সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি। টুপি তৈরি দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপারভাইজার রেখেছেন।

হাতে বানানো প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০-১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ ১৪০-১৫০ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০- ৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে টুপি তৈরির পরিধি আরও বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।

পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান, চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন। এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি। এখান থেকে যা উপার্জন করি লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না, আমার মতো বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।

সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি। বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে। এ সময় টুপি বানিয়ে জনপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।

কুড়িগ্রাম ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প বিসিকের উপব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন, পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে, এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর। হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোনো প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋণ অথবা তৈরি টুপি বাজারজাতকরণে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে।

Facebook Comments Box

দৈনিক খবরের ডাক-এ প্রকাশিত সংবাদ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংবাদদাতাদের প্রেরিত তথ্যের আলোকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে দৈনিক খবরের ডাক এজন্য দায়বদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

এই জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

ডেইলি খবরের ডাক সংবিধান, আইন ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উস্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। কতৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে।