রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘নিচতলায় একটা ছোট দোকান ছিল, সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে। এখানে অধিকাংশ যেহেতু রেস্টুরেন্ট ছিল, সেহেতু অনেক গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল। সেগুলোতেই আগুন ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে।’
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গিয়েছেন। ভবনটিতে একটি মাত্র সিড়ি ছিল। দুইটি লিফট ছিল। ফলে আগুন লাগার পর কেউ নামতে পারেনি। কেউ বলছিলেন উপরে আগুন লেগেছে, কেউ বলেছেন নিচে। ফলে মানুষ কোনদিকে যাবে তা বুঝতে পারেনি।