চলতি ২০২৪ বছরের প্রথম মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণ। রেমিট্যান্স আকারে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পরিমাণ বাড়লেও বাড়ার পরিবর্তে বরং কমে গিয়েছে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ। জানা যায়, জরুরী আমদানি সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করায় কমেছে রিজার্ভ।
জানুয়ারীতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এই পরিমাণ বিগত ৭ মাসের মধ্যে সর্বাধিক। তার বিপরীতে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জানায়, এই অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিক্রি করেছে ৮ বিলিয়ন ডলার। সরকারের সার, জ্বালানি ও খাদ্য আমদানির বিপরীতে এ ডলার দেওয়া হয়েছে। আর ২০২১ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দর বেশি পাওয়ার কারণে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণের পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকগুলো যে দর ঘোষণা করেছে বাস্তবে দর তার চেয়েও বেশি। তবে ডলারের সংকটের কারনে এই বিষয়ে কড়াকড়ি করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ব্যাংকগুলো ডলারের যে দর ঘোষণা করছে, তার চেয়ে বাস্তবে বেশি। ডলারের সংকট থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে তেমন কড়াকড়ি করছে না। এতে করে ব্যাংকিং চ্যানেলের দিকে আগ্রহ বাড়ছে বিদেশে কর্মসংস্থানে থাকা বাংলাদেশিদের। অবশ্য বিদেশে কর্মী যাওয়ার হার যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় রেমিট্যান্স আরও বেশি আসার কথা। ফলে একটি বড় অংশ হুন্ডির মাধ্যমে আসছে।