চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ২নং ফতেপুর ইউনিয়নের পাহাড় পুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাজারসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বিক্রি ও সেবন চলছে হরদমে। আর এ সকল হাতের নাগালে সহজে পাওয়া যায় বলে এর পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুব সমাজ ধ্বংসকারী ভয়ঙ্কর এই মাদকের ব্যবসা করে সেখা বেগম আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। এসব নেশাদ্রব্য বিক্রি ও সেবনে আসক্ত হচ্ছে এলাকার ১৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত তরুণ ও যুব সমাজ। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররাও এ মরণব্যাধি নেশায় আসক্ত হচ্ছে। আর এসব নেশাদ্রব্য স্থানীয় সেখা বেগম নেশাদ্রব্য সুকৌশলে বিক্রি করছে। তবে পাহাড় পুর গ্রামের সেখা বেগম মাদক নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সেখা বেগম পুলিশের হাতে আটক হলেও কিছুদিন পর সে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার তারা অনেকটা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি শুরু করে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাহাড়পুর বাজারসহ আশপাশের কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছু দিন আগে গ্রাম পুলিশ মাদকসহ সেখা বেগম কে আটক করে এবং নাচোল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে। সকাল বেলা সেখা বেগমের চায়ের দোকান থেকে বিক্রি হয় মাদক ও সন্ধ্যা হলেই তার বিলাস বহুল বাসায় পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেলে এবং বিভিন্ন মডেলের দামী মোটরসাইকেলে করে কিছু যুবকের আনাগোনা দেখা যায়। এদেরকে ভয়ে এলাকার কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। ফলে এদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে একজন মাদকসেবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,যারা এগুলো ব্যবসা করছে তাদেরকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না যে তারা মাদকের সাথে জড়িত,যেমন সেখা বেগম আর সেখা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদকসেবীরা মাদকের টাকা যোগানের জন্য নানা রকম অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ছে সহজেই। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই দিন দিন বেড়েই চলছে। মাদক ব্যবসায় জড়িত কতিপয় যুবক সমাজের কিছু নামী-দামী ব্যক্তির আত্মীয় বলে তারা মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মে লিপ্ত হলেও তাদেরকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। সমাজ সচেতন অভিভাবকগণ নিজেদের সন্তানদের নিয়ে মারাত্মক দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন যাপন করছে। পাহাড়পুর এলাকার বিপথগামী মুখোশধারী কিছু লোক এ সকল নেশাদ্রব্য নিজেকে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রেখে নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় অনেকটা চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে অপকর্ম করে যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ ধরা না খায়,ততক্ষণ পর্যন্ত যে সবাই সাধু পুরুষ।তারপর একদিন যখন সবকিছু ফাঁস হয়,সাধক পরিণত হন মহাপাতকে।তবে সবাই নন,কেউ কেউ। সেখা বেগম তার জলন্ত উদাহরণ। মাদকের টাকায় মাত্র কয়েক বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ২নং ফতেপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোহরাব আলীর মেয়ে সেখা বেগম সেখা বেগমের আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়ার পিছনের রহস্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে থলের বিড়াল।অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দশ বছর আগেও নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা ছিল তার। চা বিক্রি করতেন,বসবাসের জন্য ছিল একটি মাত্র টিনের ঘর। তার এই জীবন বদলের খেলায় ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয় মাদকের ব্যবসা,টানাপোরেনের সংসারে রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান তিনি। বর্তমানে সেখা বেগম বাসার সামনে রাস্তা সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান আছে আর সেই চা বিক্রির আড়ালে ছদ্মবেশে মাদক ব্যবসা থেকেই রাতারাতি বদলে গেছে তার জীবন।স্থানীয় কথিত জনপ্রতিনিধি ও কথক রাজনৈতিক ছিঁচকে নেতার বলয় ম্যানেজ করে ১০ বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়েছে বহাল তবিয়তেই। প্রশাসন সেখা বেগম কে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে এসে মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন সেখা বেগম।
স্থানীয়রা জানান আগে সে চা বিক্রি করতো এখন তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেন তিনরুমের একতলা পাকা বাড়িতে তার রাজকীয় জৌলুস তা-ও আবার অন্যের জমি জবরদখল করে ।কথিত এই অর্থের উৎস কি?চরম সাংবাদিক বিদ্বেষী এই সেখা বেগম সাংবাদিকদের কথা শুনলেই ক্ষেপে যান। মার মুখি হত্যা ও অসম্মানজনক মন্তব্য করেন।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অত্যুক্তি প্রকাশ করে বলেন-আপনারা যা খুশি লেখেন,আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছু হবে না।আমি উপর মহল ম্যানেজ করেই চলি। পাহাড়পুর এলাকার ছাত্র,তরুণ ও যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করতে পর পর অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে কঠিন সাজা দিতে জেলা প্রশাসন,পুলিশ,র্যাব ও ডিবি পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পাহাড়পুর অভিভাবকবৃন্দ এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গ