চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন জোরালো সিন্ডিকেট বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন।চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন  রাজারামপুর মালোপাড়া পিয়ার বিশ্বাসের ঘাট এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাজারামপুর ও নামোরাজারামপুর এলাকার জনসাধারণের আয়োজনে ছয়শত লোকজন নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,একটি প্রভাবশালী জোরালো সিন্ডিকেটের লাঠিয়াল বাহিনী গেন্ডি মহলের লোকজন মহানন্দা নদীর রাজারামপুর এলাকাসহ এর আশপাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন বালু শত শত  ট্রাকে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও নদী ভাঙনসহ নামোরাজারামপুর গ্রামের শতশত বসতবাড়ি,আবাদী জমি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গোরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হবার আশংকা রয়েছে পড়েছে মারাত্মক ঝুকের মধ্যে। 

এমতাবস্থায় শুধু তাই নয় অনেক গভীর করে ড্রেজিং করায় গত বছর ৪ জন কিশোর সেখানে ডুবে মারা যায়। এছাড়া চরে বালু না থাকায় নদীর অবাহিকার আবাদী জমি কেটে নেয়ার ফলে ফসলী জমি বিলীন হয়ে পড়ছে। বিশালে জোট বাধা এলাকাবাসীর মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন,এখানে সরকারী উদ্দ্যোগে একটি আদর্শ গুচ্ছ গ্রাম করা হলেও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের হুমকি-ধামকি ও নদী ভাঙ্গণে এখানে বসবাসকারীরা গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রতিদিন শতশত ট্রাক,ট্রাক্টর ও ট্রলি দিয়ে বালু পরিবহনের ফলে সরকারী পাকা রাস্তায় ধুলোবালির স্তর জমে তা নষ্ট হতে চলেছে। ধুলোবালির কারণে এখানে বসবাসকারীদের প্রতিনিয়ত নানান ধরনের রোগ হয়ে লেগেই থাকে। 

স্থানীয় ও এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে বালু ও মাটি কাটা বন্ধের দাবী জানান বক্তারা। এদিকে প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা না নিলে এতে ব্যর্থ হলে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বক্তারা। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিছুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।মানববন্ধনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম মিনহাজ,৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া, আইনজীবী খাইরুল ইসলাম,সাবেক ব্যাংকার আকতারুজ্জামান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন,শিক্ষক মারুফুল হক, আরিফা খাতুনসহ এলাকাবাসী মানববন্ধনে ৬০০ লোকের অধিক উপস্থিত ছিলেন।