পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলা দু’পক্ষের কোপাকুপিতে রক্তাক্ত জখম হয়ে প্রথম পক্ষের কিসলু প্যাদা (২৫) ও কিসলুর মা আহত সহ অপর পক্ষের সোহাগ হাওলাদার (৩৫) গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হয়েছে।
বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের সাহেদা গফুর ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন পশ্চিম পাশে এঘটনা ঘটে। আহত কিসলু, কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইসমাঈল প্যাদার ছোট ছেলে ও গুরুত্বর আহত সোহাগ, একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলম হাওলাদারের বড় ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানান, আজ থেকে তিনদিন আগে ভাই ভাই ওয়ার্কশপে মালিক রুহুল আমিনের সাথে স্থানীয় সজিব নামের এক ছেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে আজ দুপুরের আগে মোটরসাইকেল ওয়াশ দোকানের মালিক হাচান, জুলহাস ও কিসলু তিন ভাই মিলে এবং ভাই ভাই ওয়ার্কশপের মালিক রুহুল আমিন ও অপর পক্ষের সোহাগ হাওলাদারের মধ্যে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়।
একপর্যায় হাচান, জুলহাস ও কিসলু তিন ভাই মিলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অপর পক্ষের সোহাগ হাওলাদারকে ধাওয়া দেয়। এদিকে সোহাগ দৌড়ে গিয়ে এক রাম দা নিয়ে আসার সময় স্থানীয়দের বাধার মুখে দা রেখে অপর পাশ দিয়ে সোহাগ হাওলাদার পুনরায় একটা রড নিয়ে হামলা করার সাথে সাথে তিন ভাই হাচান, জুলহাস ও কিসলু এলোপাতাড়ি ভাবে কোপানো শুরু করে। এসময় তিন ভাইয়ের মধ্যে কিসলু দায়ের কোপে পায়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। কিসলুর মা বাধা দিতে আসলে সেও আহত হন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সোহাগ হাওলাদারের হাতের কব্জি সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তিনজনকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগ হাওলাদারকে বরিশাল হাসপাতালে রেফার করেছেন।
ঘটনাটির ব্যাপারে আহত ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে প্রতিবেদকে ব্যর্থ হওয়ায় কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি শ্রী শোনিত গায়েন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত চলছে।