ভয়াবহ উদ্বেগ উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিশোর ও যুবকদের মোবাইল ফোনে অনলাইনে বিভিন্ন গেইম খেলার আসক্তি। অনলাইনে খেলার উপযোগী বহু ধরনের গেইম পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। কিছু কিছু গেইম খেলা হচ্ছে জুয়া খেলার আদলে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে মোবাইলফোনে জুয়ার আসর। চায়ের দোকানে,গাছের ছায়ায় ও রাস্তার পাশে, অটোরিকশায় বসে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এই ইলেকট্রনিক অনলাইন জুয়ার আসর।
উঠতি বয়সের তরুণ যুবক ছাড়াও স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে জুয়া আসক্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
এর ফলে যেমনি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে তেমনি তাদের আগামীর ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। উঠতি বয়সের তরুণ যুবকেরা জড়িয়ে পড়তে পারে বিভিন্ন অপরাধে।
জানা যায়, এড্রয়েড মোবাইলফোনে খেলার উপযোগী অগুনিত খেলা পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। এরমধ্যে অন্যতম আসক্তিজনক খেলা হচ্ছে মোবাইলে লুডু খেলা। টাকা দিয়ে মোবাইলে লুডু খেলা সবচেয়ে আশংকাজনক ও আসক্তি সৃষ্টিকারী একটি খেলা।
গ্রামের আনাচে কানাচে চায়ের দোকানে সকাল সন্ধ্যা আড্ডার স্থলে জমে উঠে মোবাইলে লুডু খেলা। মাঝে মাঝে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে তারা তড়িৎ গতিতে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারো ফিরে আসে তাদের মোবাইলে লুডু খেলায়। পাবজী ও ফ্রি ফায়ার নামের ইন্টারনেটভিত্তিক গেইম এর মধ্যে অন্যতম।এ গেইম খেলতে গিয়ে প্রায় সময় মারামারির ঘটনা ঘটে থাকে।
মোবাইলফোনে বিভিন্ন খেলাকে যারা অর্থ আয়ের উৎস বানিয়েছে,এদের কারনেই সামাজিক অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিক মহল। এলাকার সচেতন নাগরিক আমির হোসেন বলেন মোবাইলফোনের মাধ্যমে ছেলেরা লুডু খেলাধূলা করে এটা জানি। তবে এর মাধ্যমে টাকা দিয়ে জুয়া খেলা হয় তা আগে জানতাম না।
মোবাইলফোনের জুয়া খেলা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তা না হলে সমাজে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়বে সামাজিক অপরাধ।এলাকার কিশোর ও যুবসমাজকে এখন ই এসব নেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে আগামীতে তা আরও ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাবে। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।