যশোরের ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এএসআই (নিঃ) মোঃ ইয়াসিন আলীর সাথে বাটপারী করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে বাজারের নগদ এজেন্ট বলাকা হার্ডওয়ারের প্রোপাইটর রেজাউল করিম ওরফে রেজা নামের এক ব্যবসায়ী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, থানা পুলিশের এএসআই (নিঃ) মোঃ ইয়াসিন আলীর নগদ এ্যাকাউন্ডে তার সন্তানের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আসে। তার টাকার দরকার হওয়ায় রবিবার সকালে ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডের পাশে নগদ এজেন্ট বলাকা হার্ডওয়ারের প্রোপাইটর রেজাউল করিম ওরফে রেজা নিকট যান।
তখন রেজা তার নগদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে এএসআই (নিঃ) মোঃ ইয়াসিন আলীর এ্যাকাউন্ডে থাকা নয়শত টাকা সে উত্তলন করে নিয়ে তাকে বলেন আপনার এ্যাকাউন্ডে সমস্যা আছে। পরবর্তীতে পুলিশের এএসআই (নিঃ) মোঃ ইয়াসিন আলী তার এ্যাকাউন্ড থেকে টাকা বের করতে না পেরে পাশ্ববর্তী হল রোডের নগদ এজেন্ট হান্নান আলীর নিকটে যান।
তখন হান্নান আলী নগদ এজেন্ট চেক করে দেখেন তার এ্যাকাউন্ড থেকে টাকা উত্তলন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এএসআই (নিঃ) মোঃ ইয়াসিন আলী তার প্রতিষ্ঠানে গেলে তিনি থোতোমতো খেয়ে যায়। তাৎক্ষনিক জরুরী ডিউটি অফিসার এএস (নিঃ) মেজবাহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
থানার কর্তব্যরত অফিসার ইনচার্জ ঘটনার বিষয়ে শুনে রেজাউল করিম ওরফে রেজার পরিবারের লোকজনদের উপস্থিত করে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকায় মাধ্যমে মুক্তি করে দেন।
নগদ এজেন্ট বলাকা হার্ডওয়ারের প্রোপাইটর রেজাউল করিম ওরফে রেজা বলেন, আমি পিন সেটাপ করতে দিয়ে সমস্যা হয়। পরবর্তীতে টাকা উত্তোলন করা পর তাকে টাকা দেওয়ার জন্য খুজে পায়নি। সেই সময় আমি তার নাম্বারের ফোন করে আমি তাকে ডাকার আগে আমার দোকানে খরিদার আসার কারণে তাকে আমি ফোন দিতে পারিনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, নগদ এজেন্ট বলাকা হার্ডওয়ারের প্রোপাইটর রেজাউল করিম ওরফে রেজাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিবারের লোকজনকে অবগত করে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দেওয়ার কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
www.dailykhoborerdak.com
ই-মেইল:
news.Khoborerdak@gmail.com