মুন্সিগঞ্জে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের ভোটার স্বাক্ষর গোপন তথ্য ফাঁস ও সমর্থকদের মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা।
শনিবার মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে সোহানা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রের সাথে তিনি এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনযুক্ত কাগজ দাখিল করেন।
গতকাল (১ ডিসেম্বর) তালিকা যাচাই-বাছাই কালে আমার সমর্থিত ভোটারের মধ্য থেকে ১০ জনকে নির্ধারণ করা হয়। উক্ত ১০ জনের তথ্য গোপন রাখার পরিবর্তে টংগিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. রাসেদুজ্জামান নির্বাচন প্রতিপক্ষ চক্রের নিকট তুলে দেয়।
পরে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান ওই তালিকা ধরে সে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তিনি আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়ার কারণে তাদের মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর হুমকি প্রদান করা হয়। যাতে স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে যাচাই বাছাইয়ে আমার মনোনয়নটি অগ্রহণযোগ্য হয়।
তিনি আরো বলেন, আসনটির নৌকার প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বিভিন্ন সমর্থকরা দুই উপজেলায় তার সমর্থকদের মারধর করছে। যেনো তার পক্ষে কাজ করতে না পারে। মূলত তিনি নির্বাচনে অংশনিতে না পারে তার জন্যই ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রতিকার চেয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এবিষয়ে যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
বিষয়টিকে মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, নির্বাচনের তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সাথে কোন প্রার্থীর কথা হয়নি। তিনি অসত্য তথ্য দিয়েছেন।
ভয়ভীতির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। এখনো নৌকার পক্ষে কাজ করছি। আমার অবস্থানের কারনেই হতো আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে। আমি মারধর ভয়ভীতি কাজ করিনি। এবিষয়তো আমি জানিই না।
উল্লেখ, সোহানা তাহমিনা মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন।