কোন কিছুতে যদি শিশুরা মনোযোগ দিতে না পারে, তবে সেটা মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। পাশাপাশি অনেক শিশু আছে অসম্ভব জেদ ও মেজাজ খিটখিটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অমনোযোগীতা একটি মানসিক রোগ।
তবে আপনি আপনার শিশুকে বুঝতে চেষ্টা করুন। শিশুদের অমনোযোগিতায় তাদেরকে প্রহার করে মনোযোগী হওয়ার জন্য বাধ্য করবেন না। এতে রোগ নির্মূল হয় না শুধুমাত্র সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
যখন বুঝবেন আপনার শিশু অমনোযোগীতায় আক্রান্ত
প্রায়ই কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না।
কাজের মাঝে সহজে নিবিষ্ট হতে পারে না।
খামখেয়ালির বশে ভুল করা কিংবা কারোর কোনো নির্দেশ অনুসরণ করে কিছু করতে সমস্যা হয় বা ঠিক মতো করতে পারে না।
বেখেয়ালি বা ঝোঁকের বশে কাজ করার প্রবণতা।
খুব বেশি কথা বলা এবং অন্যান্যদের কথার মাঝখানে কথা বলে ওঠা।
অতিমাত্রায় কাজ করার চেষ্টা, অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠা এবং কি করছিল সেসব ভুলে যাওয়া, অস্থিরতা, এবং শান্ত পরিস্থিতিতেও উদভ্রান্তের মতো ছটফট করা।
কী করা উচিত
আপনি যদি লক্ষ্য করেন, আপনার শিশু অমনোযোগিতায় ভুগছে, সেক্ষেত্রে একজন দক্ষ শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলোজিস্ট, সাইকোলোজিস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার লক্ষণগুলোর সামগ্রিক বিচার-বিশ্লেষণ করুন।
যদি চিকিৎসক বলে যে আপনার বাচ্চা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত এবং বিশেষত তিনি যদি বাচ্চার জন্যে মিথাইলফেনাইডেট কিংবা অন্য কোনো ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয় কিংবা ওই ডাক্তার যদি শিশু মনোরোগের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য জ্ঞানের অধিকারী না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থার কথা শুধিয়ে দেখতে পারেন, কিংবা অন্য কোনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও দেখতে পারেন।
নিজের বাচ্চাকে জানার চেষ্টা করুন
তার আচরণ এবং ধরন, শখ, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অদক্ষতা আছে, সেগুলো জানুন। কিছু বাচ্চা আছে যারা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত হলে পরিকল্পিত কাজকর্মগুলো তেমন কোনো নির্দেশনা ছাড়াই সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে, আবার অন্য বাচ্চারা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে তেমন সুচারুভাবে কিছুই করতে পারে না।
আপনার নিজেকে এবং আপনার বাচ্চাকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন। আপনার বাচ্চা নিজের যে কাজকর্মগুলো না করে পারে না সেগুলোর জন্যে তাকে শাস্তি দেবেন না।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
আপনার শিশুটি যদি অতিরিক্ত অমনোযোগী হয় এবং এই সমস্যার জন্য আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবন কিংবা কর্মক্ষেত্র কিংবা স্কুলে সমস্যা দেখা যায়।